প্রত্যয় ওয়েব ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকার সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। ‘এয়ার সার্ভিসেস অ্যাগ্রিমেন্ট বিটউইন দ্যা অষ্ট্রিয়ান ফেডারাল গর্ভনমেন্ট এন্ড দি গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল’স রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েনাসহ ইউরোপের অন্যান্য গন্তব্যে বিমানের ফ্লাইট এবং কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ অবারিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সকালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।
গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রস্তাবিত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে এটি বাংলাদেশ এবং অষ্ট্রিয়ার মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার মূল ভিত্তি হিসেবে পরিগণিত হবে। আর দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ স্থাপিত হলে ব্যবসা-বাণিজ্য, শ্রমবাজার, শিল্প, স্বাস্থ্য এবং প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। একইসাথে ইউরোপের অন্য দেশের সঙ্গেও বিমান যোগাযোগ সহজতর হবে।’ তিনি বলেন, জেনেভার মত ভিয়েনাতেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর রয়েছে সেদিক থেকেও এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ীই এই চুক্তিটি করা হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,‘এই চুক্তির মূল বিষয়টা হচ্ছে- উভয় দেশ পারষ্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে যাত্রী এবং কার্গো ফ্লাইটের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবে। চুক্তি অনুস্বাক্ষরের তারিখে একটি এমওইউ দ্বারা উভয় দেশের মনোনীত বিমান সংস্থা সপ্তাহে ৭টি যাত্রী এবং কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে মর্মে নির্ধারণ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোন সমস্যা দেখা দিলে উভয় পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান হতে পারে অথবা আরবিট্রেশনে যেতে হবে।’
গত ১৮ মে ২০১৮ অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বাংলাদেশ ও ভিয়েনার মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি অনুস্বাক্ষরিত হয়েছিল বলেও জানান সচিব।